বাতের ব্যাথা সহ সকল ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে যে ফল খাবেন


আমরা জানি স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, স্বাস্থ্যসচেতনতায় হওয়া আমাদের সবার উচিত। তাই নিম্নে সাস্থ্য রক্ষায় উপকারী কিছু নিয়ম দেয়া হলো।
আপনার মাথাব্যথা হলে কি করবেন ?

সে জন্য খেতে পারেন প্রচুর মাছ। মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। সেই সাথে খাওয়া যেতে পারে আদা। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে বিশেষভাবে কার্যকর।
ইয়োগার্ট খেতে পারেন জ্বর হলে। এর সাথে মধুও খাওয়া যেতে পারে
স্ট্রোক প্রতিরোধ চা পান বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। অনেক সময়ে দেখা গেছে যে নিয়মিত চা পানে ধমনীতে ফ্যাট জমে না ।
ঘুমের সমস্যায় জন্য মধু কার্যকর অনেক বেশি।
হাঁপানিতে রোগীদের জন্য পিয়াজের উপকারিতা রয়েছে। শ্বাসনালীর সংকোচন রোধে এটি ইতিবাচক ভূমিকা দেখা যায়।
কলা ও আদা পেটের পীড়ায় জন্য খাওয়া যেতে পারে। মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমিভাব দূর করার জন্যও আদা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ঠাণ্ডায় রসুন খেলে অনেকটা উপকারিতা পাওয়া যায়।


গমজাত খাদ্য ও বাঁধাকপি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে জন্য প্রচুর কায্যকারিতা রয়েছে।
বাঁধাকপি আলসারের সমস্যায় জন্য বিশেষভাবে উপকারিতা রয়েছে। এটির খাদ্যর উপাদান গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার হিল করতে সুযোগিতা করে।
মধুর হলো নানাগুণের অধিকারী। বিশেষ করে অসাড়তা, গলাব্যথা, মানসিক চাপ, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও পোরেসিস, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কায্যকারিতা রয়েছে।
এক নিমিষে দেখে নিন কোন ফলের কি উপককারিতা

আমরা সবাই সাধারণত ফল খেতে ভালোবাসি। ফলে রয়েছে নানান ধরণের পুষ্টিগুণ। আমাদের দেহে ফলের উপকারিতা অনেক। আসুন একটু জেনে নিন কি ফল আমাদের কি উপকার করে থাকে। নিম্নে দেয়া হলো কি ফল খেলে কি উপকারিতা তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি–

০১. আমঃ কাঁচা আম-বায়ু পিত্ত ও কফ বাড়ে এবং রক্ত দুষিত করে।

পাকা আম- বায়ু পিত্ত ও কফ কমে, শরীর পরিপুষ্ট হয়ে থাকে গায়ের রং উজ্জল ও ফর্সা করে।

এর আর একটি বিশেষ উপকারিতা হলো অত্যান্ত তৃপ্তিজনক পিপাসাও পরিশ্রমে ক্লান্তি দূর করে থাকে।

আমসী- পায়খানা স্বাভাবিক হয় কিন্তু বায়ু ও কফ দূর করে।

আমসত্ত- খেয়ে তৃষ্ণা, বমি, আমাশা দূর করে কিন্তু পায়খানা স্বাভাবিক হয়।



০২. কাঠালঃ কাঁঠাল সাধারণত একটু দেরিতে হজম হয় থাকে। শুক্র, বল ও বীর্য ও শরীর পরিপুষ্ট করে, কিন্তু কফ ও বাতের ব্যাথা বাড়ে এবং রক্ত পিত্তদাহ ও শোথ থাকলে কম হয়।



০৩. নারিকেলঃ ঝুনা নারিকেল- হজম সাধারণত একটু দেরিতে হয়ে থাকে কিন্তু পিত্ত বাড়ে যায়।

কাঁচা নারিকেল- পিত্ত সাধারণত কমে যায়।

ডাবের পানি- অতিসার ও ডায়েরিয়া ও কলেরা জন্য বিশেষ উপকারিতা। অম্লপিত্ত দাহ ও তৃষ্ণা

নিবারণ হয়ে থাকে। কিন্তু মুত্র বেড়ে যায়।



০৪. পেয়ারা- পেয়ারা সাধারণত দেরিতে হজম হয়ে থাকে। কিন্তু পিত্ত ও বায়ু কম হয়ে থাকে।



০৫. নাশপাতি- সহজেই হজম হয়ে থাকে। ত্রিদোষ কম হয়ে থাকে কিন্তু শুক্র ও ধাতু বেড়ে যায়।



০৬. আতাফল- আতা ফল হজম সাধারণত দেরিতে হজম হয়ে থাকে। বল ও মাংশ বাড়িয়ে থাকে ও রক্তপিত্ত এবং বায়ু কম হয়।



০৭. কলা- শুক্র, মাংশ ও কফ বেড়ে যায় এবং মেহ ও বায়ু দূর হয়ে থাকে এবং কাঁচকলা বল ও রক্ত বাড়ায় কিন্তু পায়খানা সাধারণত কম হয়ে।



০৮. আলুঃ লাল আলু- লাল আলু দেরীতে হজম হয়ে থাকে কিন্তু শক্তি বেড়ে যায়। ফুসফুসের হৃদয়পিন্ডের জমা কফ বাহির করতে সাহায্য করে থাকে।

শাখ আলু- এর বিশেষ গুণ শরীরে ঠান্ডা রাখে এবং বায়ুপিত্ত ও কফ দূর হয়ে থাকে।



০৯. বেলঃ কদবেল- পায়খানা কমায়, বায়ু, পিত্ত, ঘা, শ্বাসকাশ, বমি হৃদরোগ ও বিষদুষ দূর হয়ে থাকে।



কাঁচাবেল- হজম ক্ষমতা বাড়ে পায়খানা কম হয়ে থাকে এবং বায়ু, কফ, জ্বর ও অতিসারে খুবই উপকারিতা রয়েছে।

পাকাবেল- হজম দেরীতে হয়ে থাকে কিন্তু ত্রিদোষ বেড়ে যায়।



১০. ফুটিফল বা বাঙ্গী- দাহ, জ্বালা পোড়া, মূত্র, কৃষ্ণ ও পাথর রোগে বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।



কচি শসা- হজম দেরীতে হয়ে থাকে , শুক্র ও বাত বেড়ে যায় ,কফ, কুষ্টি ও ক্রিমি কম হয়।



১১. তরমুজ- হজম ক্ষমতা বেড়ে থাকে ও বায়ু কম হয়ে থাকে।



১২. পেঁপে- হজম বেড়ে যায়, কফ, পিত্ত কম হয়ে থাকে চোখের বিশেষ উপকার করে থাকে।



জ্বর তৃষ্ণা কম হয় না, বাত জ্বর, মুগ্র কৃষ্ট, রক্ত, পিত্ত, মেহ ও স্বর ভাঙ্গাতে বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।



১৩. পাকা তাল- দেরীতে হজম হয়ে থাকে ও ত্রিদোষ বেড়ে যায়।



১৪. খেজুরঃ

পাকা খেজুর- হজম দেরীতে হজম হয়ে থাকে ও তৃপ্তি, পুষ্টি, বল ও শুক্র বেড়ে যায়। রক্ত, পিত্ত, ক্ষয় রোগ, বায়ু, বমি, জ্বর, শ্বাস কাম, মুর্ছা মদ্যপানজনিত রোগ, বায়ু, পিত্ত রোগ দূর করতে বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।

খেজুর রস- হজম, বল, শুক্র ও মূত্র বেড়ে যায় এবং শ্লেমা কম হয়।



১৫. জামঃ জাম- বায়ু বেড়ে যায় এবং কফ ও পিত্ত কম হয়ে থাকে।



গোলাপ জাম- রুচি বাড়ায়,ঠান্ডাগুণ এবং হজম দেরীতে হয়ে থাকে।

জামরুল- হজম দেরীতে হয়ে থাকে বাত ও কফ কম হয়ে থাকে।

১৬. আনারস- ক্রিমি, সর্দি, জ্বর নিবারক রস বাড়ে যায়।



১৭. মীষ্টি ডালিম- হজম সহজে হয়ে থাকে। শুক্র, বল ও মেধা বেড়ে যায় ও মুখের রুচিও বেড়ে যায়। তৃষ্ণা, দাহ, জ্বর, অতিসার ও গ্রহনী রোগে বিশেষ উপকারে আসে।



১৮. বড়ইঃ বড়ই-হজম দেরীতে হজম হয়ে থাকে। শুক্র বাড়ায়, পুষ্টি বেড়ে যায় এবং পায়খানা কম হয়ে থাকে। তৃষ্ণা, রক্ত, পিত্ত ও ক্ষত রোগে বিশেষ উপকার করে থাকে।

ছোট বড়ই- বাত ও পিত্ত কম হয়ে থাকে।



১৯. কামরাঙ্গা- মুখের রুচি বেড়ে যায়,কফ ও বায়ু কম হয়ে থাকে।



২০. চালতা- হজম দেরীতে হয়ে থাকে। পায়খানা শক্ত করে, শরীরের বিষণ দোষ দূর করে থাকে।



২১. ফরমজা- তৃষ্ণা কম হয়ে থাকে, পিত্ত বেড়ে যায়।



২২. জলপাই- হজম সহজে হজম হয়ে থাকে। বায়ু ও কফ কম হয়ে থাকে।



২৩. তেতুলঃ কাঁচা তেতুল- রক্ত পিত্ত, আমদোষ বেড়ে যায় কিন্তু বায়ু ও শুল রোগ কম হয়ে থাকে।



পাকা তেতুল- হজম সহজেই হজম হয়ে থাকে ও পায়খানা পরিস্কার হয় এবং কফ ও বায়ু কম হয়।



২৪. জাম্বুরা- রুচি বেড়ে যায়। বায়ু, রক্তপিত্ত, শ্বাস কাশ, ক্ষয়রোগ, হিক্কা শোথ, অম্ল পিত্ত, পুরাতন আমাশা ও রক্তহীনতায় বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।



২৫. কিসমিস- হজম দেরীতে হজম হয়ে থাকে। প্রস্রাব কম হয়ে থাকে।



২৬. মনাক্কা- শুক্র বেড়ে যায়, চক্ষুরোগ, জ্বর, তৃষ্ণা, বাত, রক্ত কামলা, মুত্রকৃচ্ছ, রক্তপিত্ত, মেহ শোথ, মদ্যপ্যায়ীদের রোগসমুহ ও স্বর ভঙ্গ রোগে অনেক উপকারীতা রয়েছে। পায়খানা

শক্ত করে। কফ ও পিত্তরোগ দূর হয়ে থাকে।



পেস্তা- পুষ্টিবল ও শুক্র অনেক বেড়ে যায়।



২৭. বাদাম- হজম দেরীতে হজম হয়ে থাকে। কফ ও শুক্র বেড়ে যায় রক্ত পিত্ত রোগে ক্ষতি করে থাকে।



২৮. আঙ্গুর ফল- তৃষ্ণা, মুছা, দাহ জ্বর, শ্বাস ও বমি রোগে জন্য অনেক উপকারী।



২৯. শিঙ্গাড়া/ননিফল- হজম দেরীতে হয়ে থাকে।পায়খানা শক্ত করে। শুক্র বেড়ে যায় ও বাত, পিত্তদাহ ও রক্তপিত্ত রোগের উপকারিতা রয়েছে।



৩০. লেবুঃ

কমলালেবু- হজম শক্তি বাড়ে,রুচি বাড়ায়, চক্ষুরোগ, পেটের রোগ, কুষ্ঠরোগ, অর্জীণ, শুলরোগ, জ্বর, কাশ, বমি ও তৃষ্ণা এবং বায়ু রোগে অনেক উপকারিতা রয়েছে।

কাজী লেবু-হজম সহজেই হজম হয়ে থাকে,বাত শ্লেমা ও বমি নিবারক হিসাবে কাজ করে।

জামির লেবু- রুচিকারক, হজমশক্তি, বল ও পিত্ত বেড়ে যায়,বমি কম হয়ে থাকে।

টাবা লেবু- হজম শক্তি বেড়ে যায়, পায়খানা পরিস্কার করে থাকে। শ্বাস, কাশ, বমি, গুল, হিক্কা, পেট ফাঁপা, হৃদরোগ ও গুল্ম, প্লীহা প্রভৃতি রোগ দূর করতে সাহায্য করে এবং প্রদ্রাব স্বাভাবিক রাখে।
Previous Post Next Post

Contact Form