রান্নায় ব্যবহার করুন তেজপাতা জেনে নিন এর উপকারিতা


সুকুমার রায় লিখে ছিলেন, ‘তেজপাতে তেজ কেন, ঝাল কেন লঙ্কায়…?’
তবে তেজপাতার তেজের মাহাত্ম্য কেবল কবিতায় আটকে আছে তা ভাবলে ভুল করবেন কিন্তু।

তেজপাতার তেজ কী কী কাজে আসে আপনি জানেন কি ?
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, তেজ পাতার গুণ এমনই যা অনেক অসুখের সঙ্গেও লড়তে সাহায্য করে আমাদের। এ ছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে তেজ পাতার উপকার অনেকটাই আছে ।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত রিপোর্ট বলা হয়,
প্রতি দিন ১-৩ গ্রাম তেজপাতার ধোঁয়া যদি শরীরে প্রবেশ করলে তার এলিমেসিন ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে অত্যন্ত উপকারী।
তেজপাতায় আরো যা যা আছে ,
তেজপাতায় আছে বেশ কিছু জীবাণুনাশক উপাদান— যা বাতাসে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়াদের মারে।
তেজপাতা পোড়ানোর পাশাপাশি রান্নায় দিলেও একই উপকার মেলে।
তেজপাতায় থাকা পিনাইন, সিনেওল ও এলিমেসিন মানসিক ক্লান্তি দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
সিনেওল ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমিয়ে ফুসফুসকে তাজা রাখে।
তেজ পাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের ক্ষত ও প্রদাহ কমায়।
এর ইগুয়েনাল যে কোনও রকমের যন্ত্রণা কমাতেও কার্যকরী। প্রতি দিনের রান্নায় তেজ পাতার ব্যবহারও একই উপকার করে।
তেজ পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরের ক্ষত ও প্রদাহ কমায়।
তেজ পাতার এলিমিসিন মনঃসংযোগ বাড়ায়। মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।
অনেকেরই ধোঁয়ায় সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন রান্নায় ব্যবহার করুন এই পাতা।

তেজপাতার আরও অনেক গুণ সম্পর্কে জানুন –
১) হজমশক্রি বাড়ায়, ফলে শরীরের মেটাবলিজমের হারও বৃদ্ধি পায়। ফলে ওজন অনেকটাই কমে। এছাড়াও, পেটফাঁপা, বদহজম, বুকে জ্বালা কমাতে তেজপাতা এক্সপার্ট। অরুচি হলে, রান্নায় তেজপাতা দিন। মুখে স্বাদ ফিরবে।
২) তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা হার্টের ইনফেকশন কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সর্দিকাশি, কফ জমা, ফ্লুতে তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি খান কিংবা তেজপাতা সেদ্ধ করে বেটে, বুকে মালিশ করুন। নিমেষে আরাম পাবেন।
৩) ব্যথা কমাতে সিদ্ধহস্ত তেজপাতা। চোট লেগে ফুলে গেলে তেজপাতার তেল মালিশ করুন। মাথাব্যাথা, মাইগ্রেনের ব্যথাতেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে তেজপাতার তেল।
৪) কিডনির প্রদাহ কমাতে তেজপাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি খান। কিডনিতে পাথর হলেও তেজপাতা সেদ্ধ করা পানি কাজে দেয়।
৫) তেজপাতা ত্বকের যত্ন নিতেও সহায়তা করে। চন্দন ও তেজপাতা একসাথে বেটে ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ দেখাবে। গায়ে দুর্গন্ধ থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।

আরসিএন ২৪ বিডি / ঢাকা
Previous Post Next Post

Contact Form